অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ, সারমিন সুলতানা মন্ডল - অরুণাচল প্রদেশ পাহাড় এবং সবুজে ঘেরা শান্তির একটি জায়গা। প্রতি বছর দেশ বিদেশ থেকে বহু দর্শনার্থীরা এখানে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসেন। এই অরুণাচল প্রদেশেই অবস্থিত তাওয়াং মঠ তাওয়াং জেলায় অবস্থিত তিব্বতি বৌদ্ধ মঠ। যা বর্তমানে এটিই ভারতের বৃহত্তম বৌধ বিহার হিসাবে পরিচিত। এটি বিখ্যাত হওয়ার পাশাপাশি খুব ঐতিহ্যবাহীও।

এই মঠটি অরুণাচল প্রদেশের প্রধান আকর্ষণগুলির একটি। স্থানীয়দের কাছে এটি গোল্ডেন নামগিয়াল লাসে নামেও পরিচিত। তাওয়াং মঠটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। ভারতের বৃহত্তম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মঠ হিসাবে সিকৃতী পেয়েছে। এর আশেপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশও অনেক সুন্দর যা, মঠটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো যা ৩০০টিরও বেশী বৌদ্ধভিক্ষুদের আশ্রয়স্থল হিসাবেও পরিচিত। মঠটি ১৬৮০ থেকে ১৬৮১ সালের মধ্যে পঞ্চম দালাই লামার নির্দেশে মেরেক লামা লোড্রে গ্যামস্টো দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মেরেক লামা যখন তাওয়াংয়ের প্রাচীন নাম সোসুমের নির্বাচিত স্থানে মঠটি নির্মাণে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন, তখন পঞ্চম দালাই লামা তাঁকে সমস্ত সাহায্য প্রদানের জন্য এলাকার জনগণকে নির্দেশ জারি করেছিলেন।

ঐতিহাসিকভাবে এই বিহার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর আশেপাশে ঘুরতে যাওয়ার অসংখ্য জায়গা আছে। মঠটি আকারে বৃহৎ, চারিদিকে উঁচু পাহাড় ও সবুজে ঘেরা একটি জায়গা। মনের শান্তির খোঁজে বহু মানুষ সে মঠে সময় কাটাতে আসেন।

আলাদা অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে আপনি ঘুরে আসতে পারেন অরুণাচল প্রদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র তাওয়াং মঠে। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ তার মনের শান্তির খোজে এখানে আসেন।

কিভাবে যাবেন ?

হাওড়া থেকে ট্রেনের মাধ্যমে অরুণাচল প্রদেশে যেতে হবে। আপনি ফ্লাইটের মাধ্যমেও অরুণচল প্রদেশে যেতে পারবেন। অরুণাচল প্রদেশ থেকে আপনি সড়ক পথের মাধ্যমে এই মঠে পৌঁছাতে পারবেন।