নিজস্ব প্রতিনিধি , নদীয়া - খাদ্যগুণে ভরপুর কুরকুট বা পিঁপড়ের ডিম একটা সময় জঙ্গলমহলের মানুষের জীবন নির্বাহের এক বিশেষ রসদ হয়ে উঠেছিল। এই কুরকুট খেয়ে জঙ্গলমহলের মানুষেরা তথা আদিবাসীরা জীবন নির্বাহ করলেও নদীয়ায় এই কুরকুট ব্যবহৃত হয় মাছ ধরার অন্যতম উপাদান হিসেবে। এই পিঁপড়েরা সাধারণত খুব আক্রমণাত্মক হয়। এই কুরকুট হল এক রকমের পিঁপড়ের ডিম যাকে সাঁওতালি ভাষায় 'হাও' বা 'হাউ' বলা হয়। এই কুরকুট দেখা যায় বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়খন্ড জঙ্গলমহলের বিভিন্ন বনাঞ্চলে।
এই পিঁপড়ের দল 'উইভার এন্ট' নামেও পরিচিত। এদের গায়ের রং তামাটে বাদামি, মাথা থেকে পেটের দিকের কিছুটা অংশ গাঢ় কালচে রঙের হয়ে থাকে। এদের লার্ভা থেকে নিঃসৃত হয় এক প্রকার সিল্ক, তা দিয়েই তিন চারটে পাতাকে মুড়ে একটি থলির আকারে সেলাই করে ঘর বানিয়ে নেয় এরা। একই বাসার মধ্যে বিভিন্ন আকারের পিঁপড়ে দেখতে পাওয়া যায়। এই পিঁপড়েরা সাধারণত কোন উঁচু বড় গাছে তাদের এই বাসা তৈরি করে। এদের বাসাকে জঙ্গলমহলের স্থানীয় ভাষায় বলে,' কুরকুট পটম'। এগুলি সাধারণত শীতকালে দেখা যায়। এই এক একটি বাসায় প্রায় কয়েক হাজার পিঁপড়ে একসঙ্গে থাকে।
সাধারণত জঙ্গলমহলের মানুষজন তাদের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে এই পিঁপড়ে সঙ্গে তাদের ডিমও খায়। প্রোটিনে ভরপুর এই কুরকুটে খাদ্য গুনের পাশাপাশি রয়েছে ঔষধি গুণ। ভিটামিন সি ভরপুর এই কুরকুটে, সঙ্গে রয়েছে ক্যালসিয়াম। শিশুদের কাশিতে খুব উপাদেয় এই দুটি উপাদান। শীতকালে শীতের মোকাবিলায় কুরকুটের ঝোল বিশেষ সহায়ক বলে বিশ্বাস করে শবর জনগোষ্ঠীর লোকেরা। কুরকুট একধরণের ট্রাইবাল মেডিসিন। আয়ুর্বেদিক সহ নানা ঔষধের উপাদান হিসেবেও ব্যাবহৃত হয় অরণ্যের নানা উপাদান।
শীত-বর্ষার আগে আগে গাছের উঁচু ডালে সাদা চালের মত দেখতে অগণিত ডিম পেড়ে রাখে পিঁপড়েরা। এই পিঁপড়ের ডিমের চাটনি বা কুরকুটের চাটনি অত্যন্ত জনপ্রিয় বাঁকুড়া -পুরুলিয়া এলাকায়। কুরকুটের চাটনি তৈরির নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। চার চামচ কুরকুটের সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা, পুদিনা পাতা, অল্প পিয়াজ, রসুন টুকরো বেটে কাঁচা সরিষার তেল আর প্রয়োজন মতো নুনের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় কুরকুটের চাটনি। এই চাটনি অনেকে শাল পাতায় মুড়িয়ে আগুনে ঝলসে খেতে ভালোবাসেন।মাছের খাবার হিসেবেও ব্যবহৃত হয় কুরকুট। মাছ ধরার সময় টোপ তৈরি করা হয় কুরকুট দিয়ে। স্থানীয় বাজারে কুরকুট বিক্রি হয় কেজি প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে।
কিন্তু নিজের গ্রাম থেকে বেরিয়ে দুর্গাপুর, আসানসোল, বারাসাত, দমদম এলাকায় আড়তে রেখে দেওয়া কুরকুটের মূল্য দাঁড়ায় কেজি প্রতি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। এক কুরকুটের ডিম সংগ্রহকারী কমল ফকির জানিয়েছেন, 'আমরা গ্রামের পথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে এই কুড়কুটের ডিম সংগ্রহ করি। এই কুরকুটের ডিম অনেকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই মাছ ধরার টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমরাও মাছ ধরার টোপ হিসাবে ব্যবহার করি। এই ডিম কিছুটা স্বচ্ছ যা জলে পরে আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এর অদ্ভুত এক গন্ধে মাছেরা তার হদিস পায়"।
তাদের এই রুপোলী মুহূর্তে গর্বিত ১৪০ কোটি ভারতবাসী
সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৭ টি সোনা এসেছে ভারতে
রাজভবনের পক্ষ থেকে এই পুরস্কারের নাম রাখা হয়েছে দুর্গাভারত সম্মান
হলুদ,চিনি,লেবু দিয়েই উজ্জ্বল করে তুলতে পারেন ঠোঁট
দেখে নিন কিভাবে বাঁশকে সুন্দর কারুকার্য করে ঘর সাজানোর কাজে ব্যবহার করবেন
শুধু বিয়ে নয় , হানিমুনেও আপনার যথেষ্ট টাকা বাঁচবে এই পদ্ধতিতে
ব্রেকফাস্টেও চাইলে বানিয়ে নিতে পারেন এই তালের ক্রেপস
এই পদ্ধতিতে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই দূর হবে খুশকির সমস্যা
জেনে নিন মৃগী রোগের হাত থেকে বাঁচতে কোন কোন যোগাসন করবেন
একনজরে দেখুন রাশি অনুযায়ী কেমন কাটবে আপনার দিন
ফের রুপোর দাম নিম্নমুখী
ফের সোনার দাম নিম্নমুখী
যারা ক্রিকেটের অন্ধ ভক্ত, তারা সকলেই বসির চাচাকে চেনেন
ভারত – ৪
জাপান - ২
কোনোরকম ওটিপি শেয়ার না করার পরেও উধাও টাকা , ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ যুবক