অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ, স্নেহা কুন্ডু - বিশেষজ্ঞদের মতে মানুষের মৃত্যুর সময় কালে তাঁর যতটা এনার্জি সহ মৃত্যু হয়, ঠিক ততটাই এনার্জি নিয়ে তাঁর অরা ঘুরে বেড়ায় । হ্যাঁ হয়ত তাঁদের চোখে দেখা যায় না তবে অনুভব করা যায় । যাকে সোজা কথায় আমরা বলি ভূত । ভূত বলতে আমরা বুঝি  সেই সব অশরীরি আত্মা যারা মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে শান্তি খুঁজে পায়নি (যাদের অতৃপ্ত আত্মাও বলা হয়ে থাকে) বা পৃথিবীতে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছে (যেমন খুন, আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা)। মনুষ্য শরীরের মৃত্যু হলেও আত্মার মৃত্যু নেই। তাই আত্মা শান্তি না পেলে আপনার সঙ্গে তার দেখা হলেও হতে পারে। দেবভূমি হরিদ্বারের বিভিন্ন স্থান এমন আছে যেখানে ঘুরতে গেলে অব্যশই সেই সব জায়গা আপনাদের এড়ানো উচিৎ। সেই সব স্থানের অন্যতম ভুতুড়ে জায়গা পিরান কালিয়ার শরীফ দরগা।

হরিদ্বারে অবস্থিত এই স্থান শুধুমাত্র ভূতদের কর্মের জন্যই বিখ্যাত হয়েছে। এই দরগা গোটা দেশকে মানবতা ও ঐক্যের বার্তা দিলেও এখানে পর্যটকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ জায়গাটি সাধারণ ব্যাক্তিদের জন্য অতটাও সুবিধার নয়। দরগার ভেতরের সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও বাইরের বাতাসে অনেক কিছুর উপস্থিতি থাকতে পারে। মনে করা হয় এখানে ভূত-প্রেতকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয়, যার জন্য ভূতদের একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বিজ্ঞান এই বিষয়কে না মানলেও যাদের উপর কালাজাদু, ভূত-প্রেতের ভর থাকে তাদের এখানে নিয়ে আসা হয় সুস্থ করে তোলার জন্য। মনে করা হয় যাদের উপর অশরীরীর ছায়া থাকে, দরজাতে প্রবেশের আগে থেকেই তাদের মধ্যে অশুভ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে যায়।

সাধারণ মানুষরা দরগায় প্রবেশ করে শান্তি অনুভব করে, কিন্তু যাদের উপর কোনও কিছুর নিয়ন্ত্রণ চলে তারা এই দরগায় এসে খুবই অশান্তিতে পড়ে। এখানকার ধূপ ও রহস্যময় কুয়োর জল দর্শনার্থীরা নিয়ে যায় । কারণ তারা বিশ্বাস করেন এই বস্তুগুলো অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করে। এখানে ভূতদের নিয়ন্ত্রণ থেকে সাধারণদের মুক্তি দেওয়ার জন্য অনেক কার্য করা হয় ।

এই দরগায় মানুষের মঙ্গল করার জন্য কোনও রকম অরথ বা উপঢৌকন নেওয়া হয় না।

কিভাবে যাবেন?

সড়কপথে - উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে রুরকি যাওয়া যায়। রুরকি বাসস্ট্যান্ড থেকে দরগায় পৌঁছানোর জন্য রিকশা, বাস এবং ট্যাক্সি সহজেই পাওয়া যায়।

রেলপথে - রুরকি রেলওয়ে স্টেশন, দরগা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে, সবচেয়ে কাছের রেলওয়ে স্টেশন। স্টেশন থেকে দরগায় পৌঁছানোর জন্য গাড়ি এবং ট্যাক্সি সহজেই পাওয়া যায়।

এয়ারওয়েজ দ্বারা জলি গ্রান্ট বিমানবন্দর, দরগাহ থেকে ৬১কিলোমিটার, এখানকার সবচেয়ে নিকটতম বিমানবন্দর।