নিজস্ব প্রতিনিধি , হুগলী - বর্তমান প্রধানের অনুপস্থিতিতে মাঝরাতে পঞ্চায়েত অফিসে প্রাক্তন প্রধান! প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে ওই প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে। এরপরেই প্রাক্তন প্রধানকে ঘেরাও করে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা ৷ এমনকি প্রাক্তন প্রধান মিন্টু রায়কে চড় মারেন মহিলা সদস্য বর্ণালী দাস। পালটা চড়াও হন প্রাক্তন প্রধানও। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পাণ্ডুয়ার দ্বারবাসীন গ্রাম পঞ্চায়েতে। অপরদিকে এই ঘটনা নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি ।
সূত্রের খবর , শুক্রবার পঞ্চায়েতে অডিট হওয়ার কথা। কিন্ত তার ঠিক আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে পঞ্চায়েতে আসে এলাকার প্রাক্তন প্রধান মিন্টু রায় সহ বেশ কয়েকজন। অনেক রাত পর্যন্ত পঞ্চায়েতে কাজ হওয়ায় সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। পঞ্চায়েতে কাগজপত্র সরানোর অভিযোগ তুলে মিন্টু রায়কে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীরা।
এরপরেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পান্ডুয়া থানার পুলিশ ।পুলিশ এসে প্রাক্তন প্রধানকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পঞ্চায়েতের গেট দিয়ে পুলিশ পাহারায় বেরোনোর সময় এক মহিলা প্রাক্তন প্রধানকে সপাটে চড় মারেন। প্রাক্তন প্রধানও পাল্টা চড়াও হন তার উপর। এতেই গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন প্রাক্তন প্রধান।
এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের বর্তমান নির্বাচিত সদস্য বর্ণালী বলেন, ‘নতুন প্রধানের অনুপস্থিতিতে প্রাক্তন প্রধান অফিসের ভিতরে বসে রয়েছে। আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করি কেন তিনি এখানে রয়েছেন? তিনি জানান আগামিকাল অডিট আছে, তাই আইপিএসি তাঁকে থাকতে বলেছে। আমাদের জানা নেই এমন অডিটের আগের দিন কেউ অফিস ঘরে থাকতে পারবেন কি না। আমাদের কাছে এমন কোনও খবর নেই যে আইপিএসি প্রাক্তন প্রধানকে এখানে পাঠিয়েছে।‘
অন্যদিকে পাণ্ডুয়ার তৃণমূল নেতা ও হুগলী জেলা তৃণমূলের সম্পাদক অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘জায়ের দ্বারবাসিনী পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান মিন্টু রায় যদি দোষী হয় তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসন তদন্ত করবে। দলীয়ভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব। ইতিমধ্যেই বিষয়টি দলের নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। আমাদের দলের শীর্ষ নেতৃত্ব পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন দুর্নীতিগ্রস্থদের দলে ঠাঁই হবে না।‘
এই প্রসঙ্গে বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “অডিটের আগের রাতে প্রাক্তন প্রধান পঞ্চায়েতে গিয়েছেন। তার মানে গত পাঁচ বছরে যা লুটপাট করেছেন সেই সব তথ্য লোপাট করতেই গিয়েছিলেন। এখন তৃণমূলে সদস্যরাই পঞ্চায়েত ঘেরাও করেছেন। লুঠের ভাগ নিয়ে রাস্তায় মারপিট হচ্ছেও তৃণমূলের মধ্যে। নিজেদের ছাড়া মানুষের জন্য এরা ভাবে না ।“