প্রকাশ্যে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ , অভিযুক্ত বিজেপির কাউন্সিলরের জামাই

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২২ রাত ০৯:০৭ IST
6315decdaf9ff_IMG_20220905_170334

নিজস্ব প্রতিনিধি , নদীয়া - শান্তিপুরের এক সাধারণ তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপি কাউন্সিলরের জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ওই তৃণমূল কর্মী পেশায় শান্তিপুর স্টেশনের কুলি।গতকাল অর্থাৎ রবিবার মাথায় করে মালপত্র নিয়ে স্টেশন থেকে নামার সময় কাউন্সিলরের জামাইয়ের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তার। তারপর সেই জামাই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে তাকে। এমনকি মারধরও করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে পাল্টা দোষারোপের পালা চলছে।

শান্তিপুর শহরের দু নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জিতেন সাউ পেশায় শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশনের কুলি।গতকাল মাথায় করে মালপত্র নিয়ে স্টেশন থেকে নামার সময় একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। মোটরসাইকেল আরোহী নিজেকে এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহানন্দ বিশ্বাসের জামাই পরিচয় দেন। তারপর জিতেনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় সে।এছাড়াও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

সোমবার সকালে জিতেন রেল স্টেশনে কাজে গেলে কাউন্সিলর ও তার জামাইসহ বেশ কিছু যুবককে নিয়ে আসে।তারা লাঠি নিয়ে চড়াও হয় জিতেনের উপর। ব্যাট দিয়ে তাকে মারা হয় বলে জিতেনের অভিযোগ। এছাড়াও মাথায় মারা হয় ঘুষি। তারপর শান্তিপুর শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি দীপঙ্কর সাহা তাকে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে শান্তিপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জিতেন।

অপরদিকে দু'নম্বর এলাকার কাউন্সিলর মহানন্দ বিশ্বাসের দাবি, গতকাল তার গর্ভবতী মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে স্টেশনের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন তার জামাই। সে সময় অপর একটি ছেলের সঙ্গে বাইকে ধাক্কা লাগে তাদের। সেখানে বচসা বাধলে ওই অজ্ঞাত পরিচয় ছেলেটি জিতেনকে ডেকে নিয়ে আসে। তারপর জিতেন মহানন্দ বিশ্বাসের জামাইকে মারে বলে অভিযোগ। এমনকী মেরে তার জামাকাপড় ও ছিঁড়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার বিষয় জিতেন জানান, কাল যখন আমি মাথায় করে মাল নিয়ে যাচ্ছিলাম তখন মহানন্দ বিশ্বাসের জামাইয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তখনই আমাকে অনেক গালিগালাজ করা হয়। আমি কিছু না বলায় কাল ব্যাপারটি মিটেই গেছিল। আজ আবার এসে মহানন্দ বিশ্বাস ও তার জামাই ব্যাট দিয়ে আমায় মারধর করে।"

অন্যদিকে কাউন্সিলর মহানন্দ বিশ্বাস জানান, বিজেপির কাউন্সিলর হওয়ায় তাকে নানা ধরনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, "গতকাল আমার স্ত্রী এবং গর্ভবতী মেয়ে ব্যারাকপুর আর্মি হাসপাতাল থেকে ডাক্তার দেখিয়ে ফিরছিল। তখন মোটরসাইকেলে আমার জামাই ও মেয়ে ছিল। ওদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে অপর একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগায় বচসা শুরু হয়। তখনই আমি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি জিতেনকে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে আমার স্ত্রী ও মেয়ের সামনেই জামাইকে বেধড়ক মারধর করে জিতেন। আর আমি আজকে বিষয়টি জানতে গিয়েছিলাম শান্তিপুর স্টেশনে।আরপিএফের সামনে জিতেনের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন সে মেরেছে। থানায় মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে আমাকে এবং দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য।"

শান্তিপুর শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি দীপঙ্কর সাহা জানান, "দুনম্বর ওয়ার্ডের অত্যন্ত নিরীহ তৃণমূল কর্মী জিতেন। শান্তিপুর থানায় তার নামে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। শান্তিপুরে বিজেপি নতুন করে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে।"

ভিডিয়ো

Kitchen accessories online