নিজস্ব প্রতিনিধি, লাহোর - পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থার অবনতির কথা কারোর কাছে অজানা নেই। দিনের পর দিন হওয়া আর্থিক অনটনে ভুগছে সাধারণ মানুষ। তার ওপর সন্ত্রাসবাদের জন্য সারা বিশ্বের কাছে বদনাম। এবার পাকিস্তানের রফতানির বিচিত্র তালিকায় যুক্ত হয়েছে ভিক্ষাজীবী এবং পকেটমারের দল। সম্প্রতি সৌদি আরব এবং ইরাকের মতো দেশগুলি পাকিস্তানিদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সৌদি আরব এবং ইরাকের মতো দেশগুলি এখন ভিক্ষাজীবী এবং পকেটমারদের সে সব দেশে পাঠানো বন্ধ করার জন্য পাকিস্তান সরকারকে অনুরোধ করেছে ও সতর্ক করেছে। শুধু তাই নয়, মক্কার পবিত্র মসজিদের ভেতর থেকে গ্রেফতার হওয়া ভিক্ষাজীবী এবং পকেটমারদের অধিকাংশই পাকিস্তানি। বর্তমানে রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি, দারিদ্র, খাদ্য ও জ্বালানির আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে এখন সবচেয়ে বেশী ভুগছে পাকিস্তানের মানুষ। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান থেকে বিপুল সংখ্যক ভিক্ষুক পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে ছুটে আসছে। যার ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের ৯.৫ কোটি মানুষ দরিদ্রসীমার নীচে অবস্থিত। এক বছরের মধ্যে পাকিস্তানে দরিদ্রের হার ৩৪.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৯.৪ শতাংশে হয়েছে। না খেয়ে মারা যাচ্ছে সেখানকার সাধারণ মানুষ। এর জেরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক। দেশে আরও ১ কোটি ২৫ লক্ষ্য মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে আসার পর দেশে দারিদ্র্য মোকাবিলা মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৫ কোটি। একবছরে দেশের আর্থিক অবস্থা আরও সংকটজনক অবস্থায় পরিণত হয়েছে যা পাক সরকারের কাছে একটি উদ্বেগের বিষয়। যদিও এবিষয়ে তেমন কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করেনি পাক সরকার।