নিজস্ব প্রতিনিধি , বীরভূম - গত কয়েক দিন ধরেই সরকারি হাসপাতালের দলালচক্র নিয়ে হুলস্থুল পরিস্থিতি পড়েছে গোটা রাজ্যে। এসএসকেএম থেকে শুরু করে এনআরএস সহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে হানা দিচ্ছে গুন্ডাদমন শাখা। এরইমাঝে আরও একটি ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার রামপুরহাটের এক নার্সিংহোমে। নার্সিংহোমে রোগীমৃত্যু হলেই মৃতের আত্মীয় সেজে ডাক্তারের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ।
সূত্রের খবর , বীরভূম জেলার রামপুরহাটের এক নার্সিংহোমে চিকিৎসার গাফিলতি হলেই নিজেকে রোগীর আত্মীয় দাবি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছেন। কিছুদিন আগেই এক রোগীর মৃত্যু হওয়াতে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা দাবি করেন মৃতের অচেনা আত্মীয়। এমনি অভিযোগ জানিয়েছেন রামপুরহাটের চিকিৎসক সাদাক্কাস আলি।
চিকিৎসক টাকা দিতে না চাওয়ায় রীতিমত হেনস্থা করা হচ্ছে। এমনকি দেওয়া হচ্ছে প্রাণে মারার হুমকি। রামপুরহাটে চলছে সক্রিয় দুষ্কৃতীচক্র অভিযোগ ডাক্তারদের। বারবার রামপুরহাট থানায় জানিয়েও লাভ হয়নি। রামপুরহাট থানার বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়েছেন ডাক্তাররা। রামপুরহাটের ডাক্তাররা রামপুরহাটের এসডিপিও-র কাছে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে আইএমএর হেনস্থা বন্ধ না হলে চিকিৎসা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাক্তার সংগঠন।
এপ্রসঙ্গে চিকিৎসক সাদাক্কাস আলি জানিয়েছেন," কিছুদিন আগে এক পেসেন্ট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে। এরই বার বার কিছুজন এসে জিজ্ঞেস করে কিভাবে চিকিৎসা করছি, অপরেশন কিভাবে করলাম কেন করলাম। এমনকি তারা জোর করে আইসিইউ ঢুকে পড়ে। এরপর সাতদিন তিনি সুস্থ রোগী ছিলেন। হঠাৎই মারা যান। তারপর থেকেই রোগীর আত্মীয় দাবি করে প্রথমে ৪০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না চাওয়ায় হুমকি দেওয়া শুরু করে। তবে রোগীর পরিবার সদস্যদের আমি চিনি তারা খুবই ভদ্র। তারা এখনও অবদি কোনো কিছু দাবি করেননি"।
রামপুরহাট শাখার চিকিৎসক ও সভাপতি অশোক চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "রামপুরহাটে বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই এমন ঘটনা লক্ষ্য করা হচ্ছে। কোন ডাক্তারি চায়না তার পেশেন্ট মারা যাক। কিন্তু মারা যাবার পর কিছুলোক একটা হিউজ পরিমাণ টাকা দাবি করছে। এতে ভয় রয়েছে চিকিৎসকরা"।