নিজস্ব প্রতিনিধি , পুরুলিয়া - ফের কারখানার ভেতর থেকে উদ্ধার এক শ্রমিকের মৃতদেহ।ঘটনাটি সাঁতুড়ির মধুকুন্ডায় অবস্থিত দামুদর এসিসি সিমেন্ট কারখানায়। সেই কারখানার ভেতরে এক শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু । বৃহস্পতিবার এই ঘটনার জেরে বিশাল উত্তেজনা সৃষ্টি হয় কারখানা জুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সাঁতুড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অবশেষে দীর্ঘ নয় ঘণ্টা ধরে রণক্ষেত্র জনক পরিস্থিতির পর মৃতের ছেলেকে চাকরির নিয়োগপত্র ও বিভিন্ন পাওনা টাকা দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , শাশপুরের বাসিন্দা জীতেন বাউরি দীর্ঘদিন ধরে দামুদর এসিসি সিমেন্ট কারখানার স্লেগ ডায়ার অপারেশন জব বিভাগের দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত। বৃহস্পতিবার কর্মস্থলেই তার অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে তুলকালাম কান্ড ঘটে কারখানায়। পরিবারের দাবি, অন্যান্য দিনের মতো বুধবার রাতে খাবার খেয়ে জীতেনবাবু কারখানায় যান। কিন্তু সকালে বাড়ি ফেরার সময় পার হয়ে গেলেও না আসায় মন চঞ্চল হয়ে ওঠে পরিবারের লোকজনের। তখন কারখানায় এসে খোঁজ নিতেই কারখানার নিরাপত্তারক্ষী সহ অন্যান্যরা সবাই ব্যস্ত হয়ে পরে, শুরু হয় খোঁজ খবর।

অবশেষে তার  মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়ায় শুরু হয় সমস্যা। পরিবার আত্মীয় ও গ্রামবাসীরা কারখানার মূল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। মহিলা ও পুরুষ মিলে শতাধিক মানুষের আন্দোলনের জেরে কারখানায় কর্ম ব্যাহত থাকে।এই আন্দোলনের ফলে কারখানায় সিমেন্ট বোঝাই লরি ঢুকতে বা বেরোতেও পারেনি। এই তীব্র চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ।

এর পরে দীর্ঘ প্রায় নয় ঘণ্টা পর বিকেল চারটে নাগাদ কর্তৃপক্ষ মৃত জীতেন বাউরির ছেলে তাপস বাউরিকে চাকরির নিয়োগপত্র ও সমস্ত পাওনা টাকা মিটিয়ে দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়। সাঁতুড়ি থানার পুলিস মৃতদেহটি কারখানা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। শুক্রবার মৃত্যুর আসল কারন জানতে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া পাঠানো হবে বলে জানান পুলিশ।