নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা - গত ৬ অক্টোবর শুক্রবার কামদুনি ধর্ষণ এবং হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত দু'জনের সাজা পরিবর্তন করে আমৃত্যু কারাদন্ড ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আর এবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করল রাজ্য।
আজ থেকে ঠিক দশ বছর আগে ২০১৩ সালের ৭ ই জুন কামদুনিতে পাঁচিলঘেরা ফাঁকা জমি থেকে উদ্ধার হয় এক কলেজ ছাত্রীর মৃতদেহ। গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছিল তাকে। এই ঘটনার প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পরেছিল রাস্তায়। আর এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সিআইডিকে। ঘটনায় গ্রেফতার হয় ৯ জন অভিযুক্ত। ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি, নিম্ন আদালত ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। তিনজনের ফাঁসির সাজাও দেয়। বাকি তিনজনেরও শাস্তি হয়। তবে এরপর মামলা যায় হাইকোর্টে।
কিন্তু গত শুক্রবার এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ দুই ধর্ষকের ফাঁসির সাজা খারিজ করে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছে। শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চের এই মামলার রায় ঘোষণার পরই আদালতের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্য ও প্রতিবাদীরা। হাইকোর্টের এই রায়কে মেনেও নেয়নি রাজ্য।
তখনই শোনা গিয়েছিলো কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য। সেই মত এদিন এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করল রাজ্য। শীর্ষ আদালতে চলতি সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা। অন্যদিকে, ঘটনার সময়ে যারা প্রতিবাদী ছিলেন, তারাও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করবেন।