নিজস্ব প্রতিনিধি , কোচবিহার - প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল মেয়ে। তবে মেয়ের এই প্রেমের সম্পর্কে ভিলেন হয়ে দাঁড়িয়েছিল মেয়ের বাবা-মা। আর সেই কারণেই প্রেমিকার বাবা-মাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল মেয়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জখম হয় প্রেমিকা ও তার দিদিও। এরপরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দিদিরও। ঘটনাটি ঘটেছে শীতলকুচির হাসপাতাল পাড়া এলাকায়। শীতলকুচিতে হাড়হিম করা এই হত্যাকান্ডে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ এই ঘটনার ঘটেছে।এরপরই এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই দম্পতির মেয়ে ইতি বর্মন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল পাশের গ্রামের যুবক বিভূতি রায়ের সঙ্গে। যা মেনে নিতে তীব্র আপত্তি ছিল তার বাবা-মা দুজনেরই। আর এনিয়ে পরিবারে অশান্তিও হয়। এদিকে মৃত নিলীমা বর্মন শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। তার স্বামী বিমল চন্দ্র বর্মন তৃণমূলের এসসিএসটি ওবিসি সেলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি।

অভিযোগ, তার জেরেই অভিযুক্ত যুবক এদিন ভোর রাতে প্রেমিকার বাড়িতে এসে ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। একাধিকবার নৃশংশভাবে কোপানো হয়েছে বিমল বর্মন ও তার স্ত্রী নিলীমাদেবীকে। তাদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে দুই মেয়ে ইতি বর্মন ও রুনা বর্মন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রুনা বর্মনের। 

স্থানীয় বাসিন্দারাই ছুটে এসে অভিযুক্ত যুবককে ধরে ফেলে, তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনার খবর পেয়ে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে যান মাথাভাঙা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিত মন্ডল সহ পুলিশ আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে মাথাভাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা ও শীতলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী।

এই বিষয়ে কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, এদিন সকালে আনুমানিক ভোর চারটা নাগাদ শীতলকুচিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। উপযুক্ত যুবককে আটক করেছে শীতলকুচি থানার পুলিশ। আহত বিমল কুমার বর্মন থেকে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়েছে। তার দুই মেয়ের রুনা বর্মন ও ইতি বর্মন আশঙ্কাজনক হওয়ার কারণে তাদের কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।এই ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত করছে পুলিশ। এদিকে অসুস্থ অবস্থায় অভিযুক্ত যুবক জানান, ইতি বর্মনের সঙ্গে চার বছরের প্রেম। আমাকে ধোঁকা দেওয়ায় এই ঘটনা ঘটিয়েছি।