অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ, সারমিন সুলতানা মন্ডল - ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে প্রসিদ্ধ লাভ করেছেন অনেক শিল্পীরা। তবে শুধু যে ভারতীয়রা এই সুযোগ পেয়েছেন তা কিন্তু নয়, চলচ্চিত্র জগতে এমন বহু দেশ থেকে আসা শিল্পীরা খ্যাতি অর্জন করতে পেরেছেন। তেমনই একজন পাকিস্তানি নারী যিনি ভারতে কেবলই গান গেয়েই বিখ্যাত হয়েছেন, তাঁর গাওয়া গান আজও শোনা হয়। নাজিয়া হাসান ছিলেন সেই পাকিস্তানি গায়িকা, এর পাশাপশি তিনি ছিলেন একজন পপ শিল্পী, আইনজীবী এবং সমাজকর্মী।
নাজিয়া ১৯৬৫ সালের ৩ এপ্রিল পাকিস্তানের একটি পাঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নাজিয়া, এই নামটা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে গেলেও ১৯ এর দশকে এটি একটি বিখ্যাত নাম ছিল। তিনি সেই প্রথম শ্রেণীর নাম গুলির মধ্যে একটি যাদের হাত ধরে ভারতে পপ কালচারের সূচনা হয়। নাজিরা করাচি ও লন্ডনে তাঁর শৈশব কাটিয়েছেন। তাঁর পিতা বসির হাসান ছিলেন একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, এবং মাতা মুনিরা বশির ছিলেন একজন সমাজকর্মী। এছাড়াও তাঁর দুই দিদি জহেব হাসান এবং জারা হাসানও পাকিস্তানের বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন।
নাজিয়ার সফল সংগীত জীবনের মাধ্যমে তিনি উপমহাদেশের কিংবদন্তি একজন শিল্পী হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছেন। এছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সেলিব্রেটিদের একজন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে কিভাবে তিনি এতো সমৃদ্ধি লাভ করেন?। ফিরোজ খান পরিচালিত ১৯৮০ সালে মুক্তি পাওয়া কুরবানী মুভিতে মাত্রা ১৪ বছর বয়সে নাজিয়া একটি গান গেয়েছিলেন। গানটি ছিল 'আপ জেয়সা কোয়ি', যা রিলিজ হওয়া মাত্র একটি সফলতা পায়। শুধু তাই নয় তিনি এই গানটি গেয়ে গোটা ভারতে অনেক প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তিনি হয়ে ওঠেন একজন নামী গায়িকা। ভারতীয় গানের জগতে পপ মিউজিক তাঁরই হাত ধরে প্রবেশ করে।
এরপর নাজিয়া তাঁর গানের জন্য মাত্র ১৫ বছর বয়সে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। শুধু তাই নয়, তিনিই এই পুরস্কার পেয়ে একটি রেকর্ডও গড়ে ছিলেন যা আজ অব্দি কেউ ভাঙতে পারেনি। নাজিরা সর্বকনিষ্ঠ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার প্রাইড অফ পারফরম্যান্স বিজয়ী।
তবে সংগীত জগতে সফলতা পাওয়ার শর্তেও নাজিয়া এই জগতে হারিয়ে যাননি। তিনি গানের পাশাপাশি নিজের পড়াশোনাও সমান ভাবে করছিলেন। এরপর ১৬ বছর বয়সে তিনি ও তাঁর ভাই জোহেব হাসান ডিস্কো দিওয়ানে নামক পপ অ্যালবাম প্রকাশ করে সংগীত জগতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন। এটি ছিল সে সময়ের এশিয়ার বেস্ট সেলিং পপ অ্যালবাম। সংগীত জগত ছাড়াও তিনি বহু সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাকিস্তানের নিপীড়িত মহিলা এবং অন্যান্যদের সাহায্য করতেন তিনি। একজন ভালো গায়িকার পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন ভালো মনের মানুষ।
নাজিয়া তাঁর জীবনে অনেক জনপ্রিয়তা এবং পুরস্কার অর্জন করেছেন। তবে যৌবনেই তিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হন। তিনি ৩০ বছর বয়সে মির্জা ইশতিয়াক বেগের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। বিয়ের ২ বছরের মাথায় তাঁর পুত্র সন্তান হয়, যায় নাম রাখা হয় আরেজ হাসান। তবে তাঁর আমি অত্যাচারে তিনি তাঁর ডিভোর্স দিতে বাধ্য হন। নাজিয়ার মৃত্যুর ১০ দিন আগে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ২০০০ সালের ১৩ আগস্ট লাং ক্যান্সারে তাঁর মৃত্যু ঘটে, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। শুধু পেছনে ফেলে যান তাঁর স্মৃতি টুকু, আর ফেলে যান তাঁর কণ্ঠে গাওয়া কিছু গান যা আজও শোনা হয়।
গুজরাত টাইটান্স – ২১৪/৪ (২০)
চেন্নাই সুপার কিংস – ১৭১/৫ (১৫) (ডিএলএস পদ্ধতি)
এই স্থানে পড়ে ছিল দেবী সতীর স্তনযুগল
১৫ ওভারে জয়ের জন্য ১৭১ রান দরকার চেন্নাইয়ের
একনজরে দেখুন রাশি অনুযায়ী কেমন কাটবে আপনার দিন
বাইরন শুভেন্দু নয় , অভিষেকের ঘনিষ্ঠ , তা তৃণমূল প্রমান করে দিয়ে গেল , তোপ সুকান্তর
নিজেদের শৃঙ্গার করতে বানিয়ে নিতে পারেন এই গয়না
অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি চান্দা ডেঞ্জার বিল্ডিং ওয়ার্কার পদে ২৫০ জন লোক নিয়োগ করছে
৩ বল খেলে ৪ রান তোলেন চেন্নাইয়ের ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়
এই স্ক্রাব ফেরাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা
দেখুন কেনো বিখ্যাত আজকের দিনটি
এই কেক খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই লোভনীয়
ঘরোয়া টোটকায় আমলকী করতে পারে অনেক রোগের নিরাময়
ফের রুপোর দাম অপরিবর্তিত
ফের সোনার দাম অপরিবর্তিত
সকলের সামনে প্রেমিকাকে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় প্রেমিক