এভাবে আইনের অজুহাতে বাঁধলে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে , আয়কর নিয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি জাকির হোসেনের

জানুয়ারী ১২, ২০২৩ বিকাল ০৫:৪১ IST
63bff3d8de7f9_n4613267901673524071919fc6f2925e0930dc87b174eaad185fc68a85ac04564d36e4fb46ead2aca298324

নিজস্ব প্রতিনিধি , মুর্শিদাবাদ - ব্যবসায়ীর বাড়িতে নগদ অর্থের প্রয়োজন হয় নানা কারণে। আয়কর দফতর আগে থেকে তাকে জানালে তিনি হিসাব দিতে পারতেন। আয়কর হানায় টাকা উদ্ধার নিয়ে এই ব্যাখ্যাই দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন।

বাড়ি, অফিস, গুদাম এবং কারখানা থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার জাকির হোসেন জানিয়েছেন, 'আমার একাধিক কারখানা রয়েছে। আর সেই সব তেল এবং চালের কারখানার জন্য নগদ টাকা দিয়েই শস্য কিনতে হয়। পাশাপাশি, বিড়ি কারখানায় শ্রমিকদের প্রতি সপ্তাহের শেষে মজুরিও দিতে হয়। ৭ হাজার শ্রমিক আমার। কৃষিক্ষেত্রে পুরোটাই নগদে ব্যবসা হয়। সবটাই শ্রমিকদের টাকা। কৃষকদের টাকা। চাষিরা যদি টাকা না পায় তারা বিক্ষোভ করবেন। আমরা অনেককে কাজ দিই। সেই কাজ ব্যাহত না হোক, সেটাই চাইব।এ ভাবে যদি প্রতি ক্ষেত্রে আইনের অজুহাতে বেঁধে ফেলা হয় তবে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। দেখি আদালতে কী হয়!'

তবে গোটা ঘটনা নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের পাশেই দাঁড়িয়েছে দল। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, 'এর খুব বড় ব্যবসা। আর কেন এত টাকা উদ্ধার হয়েছে সে নিয়ে ও আয়কর দফতরকে উত্তর দেবে, আমাকে বা অন্য কাউকে বলার দরকার নেই তো।'

এদিকে যে প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, 'উনি তো ছোট নেতা, এমএলএ। মন্ত্রীপদেও সুযোগ পাননি। তাতেই প্রায় ১৫ কোটিয তৃণমূলের যুবনেতা ১৯ কোটি। যেটা বলছিলাম, সেটা ঠিক প্রমাণিত হচ্ছে। যত বড় নেতা তত বড় লুঠ। মানুষ সর্বস্বান্ত আর লুঠেরার পার্টিতে পরিণত হচ্ছে তৃণমূল।'

বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার কটাক্ষ, 'টাকা উদ্ধারের পরও তৃণমূল নেতারা যদি সাফাই গান, তাহলে ধরে নিতে হয় এটা সংগঠিত অপরাধ।'

ভিডিয়ো

Kitchen accessories online