অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ, সারমিন সুলতানা মন্ডল - ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন ইংরেজদের দ্বারা ভারতের এমন অনেক গির্জা নির্মিত হয়েছে যা বহু বছর পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী। দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের মেডাক ক্যাথিড্রাল তাদেরই মধ্যে অন্যতম। এটি আবার গোটা এশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম ডায়োসিস গির্জা এবং সারা বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম ডায়োসিস।
এই ক্যাথেড্রালের উচ্চতা প্রায় ২০০ ফুট এবং প্রায় ১০০ ফুট চওড়া। চার্জটি অন্যান্য স্থাপত্যের তুলনায় আলাদাভাবে নির্মিত। গির্জার ছাদ সম্পূর্ণ সাউন্ড প্রুফ এবং চিত্তাকর্ষক ভল্টিং শৈলী রয়েছে। চার্চের মেঝেতে ছয়টি আলাদা আলাদা রঙের মেজাইক টাইলস দিয়ে সজ্জিত যা সুদূর ব্রিটেন থেকে আনা হয়েছিল।
ইতিহাস - মেডাক চার্চ তেলেঙ্গানার সমস্ত চার্চের মধ্যে বৃহত্তম ক্যাথেড্রাল। এটি ব্রিটিশ ওয়েসলিয়ান মেথডিস্টদের দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে চার্চ নির্মাণের নেতৃত্ব দেন রেভারেন্ড চার্লস ওয়াকার পসনেটের। তিনি ১৮৯৫ সালে ট্রিমুলঘেরিতে ব্রিটিশ সৈনিকদের মন্ত্রী হিসাবে সেকেন্দ্রাবাদে আসেন।
পরে ১৮৯৭ সালে তিনি মেডাক নামক একটি গ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি একটি বাংলো নির্মাণ করেছিলেন। তিনি লক্ষ্য করেন মেডাক এলাকায় খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষদের সংখ্যা অনেক কম। এরপর তিনি যখন মেডাকে এসে উপাসনার স্থান হিসেবে ছোট্ট একটি টালির ঘর তৈরি করেন। ধীরে ধীরে সেই এলাকায় খ্রিস্টানদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তখন সেখানে একটি গির্জার অভাব অনুভব হতে থাকে। রেভারেন্ড চার্লস ওয়াকার ১৯১৪ সালে ঘুসনাবাদ এলাকায় একটি বিস্তৃত ১০০০ একর জমিতে বর্তমান চার্চটির নির্মাণ কার্য শুরু করেন।
তখন সেই সময় মেডাক দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল। দুর্দশাগ্রস্ত সাধারণ মানষদের সাহায্য করার জন্য পসনেট জনসাধারণকে কাজের সন্ধান দিয়েছিল। তিনি বিনামূল্যে খাবার দিতেন তার পরিবর্তে তাদেরকে গির্জা নির্মাণে সাহায্য করতে হতো।
এই করে প্রায় ১০ বছর ধরে গির্জা নির্মাণের কাজ চলে ছিল। ক্যাথেড্রালটির নির্মাণ কার্জনশেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ১৯২৪ সালে পবিত্র করা হয়েছিল। পাসনেট মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৪৭ সালের অক্টোবরের চারজটি মেডাকের ডায়োসিসের ক্যাথিড্রাল চার্চে পরিণত হয়।
কিভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ট্রেনের মাধ্যমে হায়দ্রাবাদ যেতে হবে। এরপর হায়দ্রাবাদ থেকে ৬০ মাইল দূরেই এই চার্চটি অবস্থিত।
এই ফুটবল প্রতিযোগিতায়
চ্যাম্পিয়ন হয় অর্ণব অন্বেষা সম্প্রীতি একাদশ।
শিশির মঞ্চে বিভাব নাট্য একাডেমি মঞ্চস্থ করলো তাদের দুটি নতুন নাটক ' জীবনের এক রূপকথা' ও ' দিনান্তে।