নিজস্ব প্রতিনিধি, নদীয়া -  দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কাজ করছিলেন গয়েশপুর পৌর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। হঠাৎ কর্মচ্যুত করে দেন তাদের। ঘটনার পর কিছু মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে নদীয়া জেলার গয়েশপুর এলাকায়।

মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের দাবি, তারা দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করে আসছেন। হঠাৎ তাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, "হঠাৎ রাত দশটায় আমার ফোনে মেসেজ আসে। তালিকায় দেখি আমার নাম নেই। আমার নামের জায়গায় অন্য কারোর নাম। কি কারনে হঠাৎ কাজ থেকে বের করে দিল জানি না।"

পাশাপাশি আরেক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী জানিয়েছেন, "পৌর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আমাদের বলেন, তোমাদের সরকারিভাবে এখানে রাখা হয়নি। একজন চেয়ারম্যান যদি একথা বলেন, তাহলে আমআদমি আমাদের কি বলবে? এটা খুবই দুঃখজনক।"

পুর প্রশাসক পর্ষদের সদস্য মানিক পালক এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তিনি জানান, "এটাতো আমাদের চেয়ারপারসন যিনি আছেন উনি বলবেন। কারণ সমস্ত কিছুর ফাইনাল ডিসিশন উনি নিয়ে থাকেন। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।"

পুর প্রশাসক পর্ষদের চেয়ারপারসন মরনকুমার দে জানিয়েছেন, "এখন তো এখানে কোনও কাউন্সিলর নেই। সাংগঠনিকভাবে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আমার কিছু করার নেই। আমার কাছে যে তালিকা জমা পরেছে সে ভাবে আমি নিয়োগ করবো।"

এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুকান্ত চ্যাটার্জিকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, “পাঁচ বছর ধরে কাজ করছে কিনা জানি না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।” 

দ্বিতীয় পর্বে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধিতে জারি হয়েছে লকডাউন। কাজ হারাচ্ছে বহু মানুষ। এবার তারই চিত্র দেখা গেল নদীয়া জেলার গয়েশপুরে।