নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রিটেন - প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে শোকাহত ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রতি বহু মানুষের সহানুভূতি থাকলেও ব্রিটেনের এক চতুর্থাংশ মানুষই কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজতন্ত্রের বিপক্ষে। ব্রিটিশ জনগণের একটি বিরাট অংশ সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানকে দেখতে চান।
গত মার্চ মাসে ‘ইউগভ' নামে একটি সংস্থা একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে, ব্রিটেনের ৬৩ শতাংশ মানুষ চায় ভবিষ্যতেও যেন রাজতন্ত্র অব্যাহত থাকে। কিন্তু প্রতি চার জনের মধ্যে একজন বলেছেন, তারা রাজতন্ত্রের অবসান চান এবং একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানকে দেখতে চান। আবার এই সমীক্ষায় প্রতি দশ জনে একজন এ বিষয়ে কোন পক্ষেই মতামত দেননি।
ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বয়স এখন ৯৪ বছর। গত প্রায় এক হাজার বছর ধরে কোনো না কোনোভাবে ব্রিটেনে তাদের শাসন চালু আছে। মাঝখানে একবারই মাত্র এতে ছেদ ঘটেছিল, সপ্তদশ শতকে ইংল্যান্ডের গৃহযুদ্ধেরপাঁচ বছর।
ব্রিটেনে রাজা বা রানির বেশ কিছু সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। যেমন পার্লামেন্টের তৈরি আইনে সই করা, প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা এবং পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকা। কিন্তু রাজতন্ত্রের অনেক ক্ষমতাই এখন খর্ব করা হয়েছে। রানি এলিজাবেথ একই সঙ্গে কমনওয়েলথের সদস্য ৫৪ টি দেশেরও রানি। এই জোট গড়ে উঠেছে একসময়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন দেশগুলোকে নিয়ে।
রাজ পরিবারের ব্যাপারে চালানো সমীক্ষার তথ্য যদি বয়স ভেদে ভাগ করে দেখা হয়, তাহলে দেখা যায় বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে একটা বিরাট পার্থক্য আছে। যাদের বয়স ১৮ হতে ২৪ তাদের মধ্যে রাজতন্ত্রের পক্ষে সমর্থন সবচেয়ে কম। আবার যাদের বয়স ৬৫ বা তার বেশি, তাদের একটা বিরাট অংশই রাজপরিবারকে টিকিয়ে রাখার পক্ষে।