নিজস্ব প্রতিনিধি , বাঁকুড়া - গতকাল দেওয়াল ধসে ৩ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর রবিবার ফের দেওয়াল ধসে মৃত্যু এক বৃদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের দক্ষিণ হাঁসাপাহাড়ি গ্রামে। টানা বৃষ্টিতে একের পর এক কাঁচা বাড়ি ধসে পড়ছে। এই নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ফুঁসছে এলাকাবাসী। এই ঘটনার পর এদিন দুপুরে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সাংসদ শান্তুনু সেন ও অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর , ওই বৃদ্ধা বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের দক্ষিণ হাঁসাপাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। মৃত্যু বৃদ্ধার নাম পূরবী হাঁসদা(৬২)। বৃদ্ধা কাঁচা বাড়িতে বসবাস করতেন। শুক্রবার থেকে জেলায় জেলায় বৃষ্টি হওয়ায় কাঁচা বাড়িগুলির দেওয়াল ভিজে ছিল। তার বাড়ির পাশে একটি গোয়ালঘর আছে। বৃষ্টির জন্য গোয়ালঘরের পাঁচিলও ভিজে নরম হয়ে যায়। শনিবার রাতে আরও বৃষ্টি হওয়ায় গোয়ালঘরের পাঁচিল ধসে পড়ে পুরবী দেবীর বাড়ির দেওয়ালে। সেই ধাক্কায় বাড়ির দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ঘুমন্ত পুরবী দেবীর শরীরের উপর। রাতে বৃষ্টির কারণে দুর্ঘটনার কোনো খবর পাননি প্রতিবেশীরা।
রবিবার সকালে পুরবী দেবীর ছেলে বিজয় হাঁসদা মার বাড়ি আসেন। এসে দেখেন বাড়ি ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। তারপরই মায়ের খোঁজ শুরু করে। পড়ে ঘরের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে বৃদ্ধার দেহ দেখতে পান ছেলে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ছাতনা থানার পুলিশ। তারপরই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে।
রবিবার বিষ্ণুপুর মহকুমার বাকাদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়ামারা গ্রামে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন এবং অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তনু সেন জানিয়েছেন, “পুরবী হাঁসদার নাম আবাস যোজনার তালিকায় ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেওয়ায় ওই তালিকায় থাকা উপভোক্তাদের কেউই বাড়ি পাননি। এর ফলে একের পর এক দুর্ঘটনা দেখতে হচ্ছে। কেন্দ্র টাকা না আটকালে আজ এই ঘটনা ঘটত না"।