নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব বর্ধমান - গতকাল রাজ্যের ৪ পুর কেন্দ্রের ভাগ্যনির্ধারণে গেরুয়া শিবির ভরাডুবির পর মঙ্গলবার ভোট লুটের অভিযোগ সরব হয়েছে বিরোধী পক্ষ। রাজ্যের বিরোধীদলের শুভেন্দু অধিকারী হাইকোর্টে মামলা করার পাশাপাশি এবার শাসকদলের বিরুদ্ধে কামান দাগলেন বিরোধী পক্ষের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার বর্ধমান বড়নীলপুর মোড় থেকে ৩৩জন প্রার্থী সহ বেশ কয়েকজন দলীয় সদস্য নিয়ে পুর নির্বাচনে গণতন্ত্রের গণহত্যার অভিযোগ তুলে পথ মিছিল করে দিলীপ ঘোষ। সেখানেই অস্থায়ী মঞ্চ গড়ে তুলে গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস কোন রাজনৈতিক দল নয় একটা ডাকাতের দল। সেই দলের একজন সরদার তথা ডাকাত রানী আছেন যার অঙ্গুলিহেলনে সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে।
এছাড়াও তার সংযোজন, শাসক দলে একজনের পোস্ট ছাড়া আর কারোর কোন পোস্ট নেই, সকলেই ল্যাম্পপোস্ট, যেগুলোতে আলো জ্বলে না। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে বারো মাসে তেরো পার্বণের মতো মাসে মাসে ভোট হয়। রাজ্যজুড়ে ভাগে ভাগে ভোট করিয়ে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির লঙ্ঘন করে মানুষকে নিজেদের অধিকারের ভোট থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাদের বাড়িতে বন্দি করে নিজেদের মতো অন্যের ভোট দিয়ে প্রত্যেকটি নির্বাচনে জয়লাভ করেছে শাসকদল'।
অন্যদিকে আবার নির্বাচন কমিশনের উপর কামান দেগে দিলীপ বলেন, 'রাজ্য সরকার যেভাবে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে তার পরেও নির্বিকার রাজ্য নির্বাচন কমিশন। লজ্জা নেই দুকান কাটা প্রত্যেকবার হাইকোর্ট থেকে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে তার সত্বেও চুপ নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের একটাই লক্ষ্য শাসক দলকে এই রাজ্যে জেতাবে। রাস্তায় মানুষ বেরিয়ে হাঁটতে পারবে না প্রত্যেক পদে পদে গর্ত। পাঁচ বছর সবাই সময় পেয়েছে অথচ উন্নয়ন করতে পারেনি। এখন যেই নির্বাচনের সময় এসেছে অমনি রাস্তা সংস্কারের কাজে লেগে পরেছে। এতদিন আগে যে কেন্দ্র থেকে টাকা পাঠানো হয়েছিল সেগুলি নিয়ে পাঁচ বছর কি করছিল ! কেষ্টদার কথায় রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে উন্নয়ন। প্রত্যেকটি দলের একজন নেতা থাকে এবং আইন-শৃঙ্খলা থাকে কিন্তু শাসক দলের কোনো নেতা নেই কোনো শৃঙ্খলা নেই সকলেই অভিনেতা'।
এই ফুটবল প্রতিযোগিতায়
চ্যাম্পিয়ন হয় অর্ণব অন্বেষা সম্প্রীতি একাদশ।
শিশির মঞ্চে বিভাব নাট্য একাডেমি মঞ্চস্থ করলো তাদের দুটি নতুন নাটক ' জীবনের এক রূপকথা' ও ' দিনান্তে।