নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ – মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে থেকে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করে পাক রেঞ্জার্সরা। এরপরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি পাকিস্তানে। পাক সেনার হেডকোয়ার্টারে তান্ডব চালায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তথা ইমরানের সমর্থকরা। এমনকি পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে তারা। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন শাহবাজ শরিফ।

সূত্রের খবর, ইমরান খানের গ্রেফতারির পরেই লাহোরের মডেল টাউনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাসভবনে হামলা চালায় প্রায় ৫০০-র বেশি পিটিআই সমর্থক। শাহবাজ শরিফের বাসভবনে পেট্রোল বোমা ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। এমনকি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে থাকা একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছাতেই পালিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। বুধবার গভীর রাতে পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার মুক্তির দাবিতে সাধারণ মানুষের সম্পত্তি ধ্বংস করা এক ধরণের সন্ত্রাসবাদ ও দেশের সঙ্গে শত্রুতা। যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাদের কড়া হাতে দমন করা হবে। পাকিস্তানের মতাদর্শ ও পরিস্থিতি রক্ষা করা আমাদের প্রাণের থেকেও বেশি মূল্যবান। আমরা কাউকে এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে দেব না। যারা এই ষড়যন্ত্র করছে, তাদের আমরা হারাবোই’।

উল্লেখ্য, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, করাচি, গুজরানওয়ালা, ফয়জলাবাদ, মুলতান, পেশোয়ার, মারদান সহ একাধিক শহর বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে। পেশোয়ারে রেডিও পাকিস্তানের বিল্ডিংয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে পিটিআই কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ইসালামাবাদে। রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনার হেডকোয়ার্টারের প্রধান দরজা ভেঙে সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে বিক্ষুব্ধ জনতা।

পাক সেনার কর্পস কমান্ডারদের বাসভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে ইমরানের সমর্থকরা। কোয়েটা শহরে মিলিটারি বাহিনীর সঙ্গে পিটিআই কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। মৃত্যু হয়েছে ১ জন পিটিআই কর্মীর। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫ জন। করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি শহরে সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন ১৫ জন। রাওয়ালপিন্ডিতে পিটিআই কর্মীদের উপর প্যারামিলিটারি বাহিনী গুলি চালিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে। নামানো হয়েছে সেনা।