অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ, ইন্দ্রজিৎ আইচ -
গত ১২ ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার কলকাতা ঊষা গাঙ্গুলী মঞ্চে (রঙ্গকর্মী) র মঞ্চে ,ধ্রুপদী নৃত্য কলা কেন্দ্র সফলভাবে তাদের " দেবীপক্ষ ২০২৩" অনুষ্ঠান টি উপস্থাপন করে, এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট থিয়েটার ব্যাক্তিত্ব, নৃত্যশিল্পী অলোকানন্দা রায় এবং কত্থক শিল্পী গুরু অসীমবন্ধু ভট্টাচার্য । ধ্রুপদী নৃত্য কলাকেন্দ্রের ৫ বছর থেকে ১৯ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রী তাদের ধ্রুপদী নৃত্যশৈলী ভারতনাটম (মার্গম)মাধ্যমে সমস্ত অনুষ্ঠান পরিবেশন করে সঙ্গে ছিলো মাতৃ আগমনী নৃত্য পরিবেশন।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন শ্রী কল্লোল কোনার, সাজগোজের দায়িত্বে ছিলেন সুব্রত ঠাকুর ও রাকেশ বিশ্বাস। অনুষ্ঠান তত্ত্বাবধানে ছিলেন আশীষ কুমার মিশ্র । অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন হৈমন্তী বসু।
সমগ্র অনুষ্ঠান টি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে রঙ্গকর্মীর সহায়তায়। বিশেষ ধন্যবাদ অনিরুদ্ধ সরকারকে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিরা ধ্রুপদী নৃত্য কলা কেন্দ্রের সন্তানদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামীর জন্য আশীর্বাদ জ্ঞাপন করেন। ধ্রুপদী নৃত্য কলা কেন্দ্র বিগত ২৮ বছর একইভাবে পান্ডবেশ্বর কোলাঞ্চলে তার শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে গর্বের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলেছে।
হিন্দি থিয়েটারের গুরু ঊষা গাঙ্গুলির স্মরণে" দেবীপক্ষ" অনুষ্ঠানটি ধ্রুপদী নৃত্যকলা কেন্দ্র নিষ্ঠার সাথে উৎসর্গ করেছে, যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। ক্ষুদে শিল্পীরাও অসাধারণ।
পায়েল বাউড়ি তার একক ভরতনাট্যাম প্রদর্শনে অধ্যবসায়ের ছাপ রেখেছে।
ধ্রুপদী নৃত্যকলা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হৈমন্তী বসু বলেন তাঁর স্বপ্ন ছিলো যে থিয়েটার ব্যাক্তিত্ব ঊষা গাঙ্গুলির উপস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রী তাদের প্রতিভা মঞ্চস্থ করবে, কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস,,,, তবে তাঁর আশীর্বাদ নিতেই রঙ্গকর্মী আসা ও অনুষ্ঠান করা। উনি স্বশরীরে না থাকলেও রঙ্গকর্মী জুড়ে ওঁনার উপস্থিতি অনুভূত করেছে সকলেই।